আর্ট এক্সিবিশন ২০২৫

আর্ট এক্সিবিশন ২০২৫

views November 6, 2025

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী আর্ট এক্সিবিশনের প্রথম দিন উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই প্রদর্শনীর মূল থিম ছিল “গ্লোবাল পিস” (বিশ্ব শান্তি), যেখানে শিক্ষার্থীরা চিত্রকলার মাধ্যমে শান্তি, মানবতা ও সংস্কৃতির সৌন্দর্য প্রকাশ করেছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ, উপাচার্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি তাঁর বক্তৃতায় শিল্পকলার নান্দনিক শক্তি সম্পর্কে আলোকপাত করেন এবং ভারতে তাঁর ডক্টরেট অধ্যয়নের সময়কার শিল্প-অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি উল্লেখ করেন, সে সময় বিভিন্ন আর্ট গ্যালারি ভ্রমণ এবং শিল্পী সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে ছিল অত্যন্ত অনুপ্রেরণামূলক।

প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার, প্রফেসর এ. এস. এম. শফিকুল্লাহ, যিনি তাঁর বক্তৃতায় প্রখ্যাত শিল্পী জয়নুল আবেদিন-এর অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, জয়নুল আবেদিন বাংলাদেশের চিত্রকলার ভিত্তি স্থাপন করেছেন এবং তাঁর শিল্পকর্মে সাধারণ মানুষের জীবন ও সংগ্রাম গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

রেজিস্ট্রার, প্রফেসর এ. এস. এম. শফিকুল্লাহ

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ড. মিজানুর রহমান, প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান, ইংরেজি বিভাগ; ড. মো. শাহ আলম, প্রফেসর (ইংরেজি বিভাগ) ও ডিন (আর্টস অনুষদ)।

ড. মো. শাহ আলম, প্রফেসর (ইংরেজি বিভাগ) ও ডিন (আর্টস অনুষদ)।


অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিরা প্রদর্শনী আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত সকল শিক্ষার্থীকে ধন্যবাদ জানান। বিশেষভাবে প্রশংসা করা হয় রূপম সূত্রধর, মারজিয়া, ফুয়াদ মুজিব, বুশান উদ্দিন, মরিয়ম বেগম, নিশাত, আনিসা চৌধুরী, জান্নাতুল মাওয়া, রাইশা, আদিবা, ফারি, রোজা, ও শামীমাসহ আরও অনেক শিক্ষার্থীকে, যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই প্রদর্শনী সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।


বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন সৃজনশীল উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক পরিবেশকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং শান্তি ও মানবতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরাও প্রদর্শনীটি পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষার্থীদের কাজের প্রশংসা করেন।

প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ৬ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত।

প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন
মোস্তাফিজুর রহমান
লেকচারার, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়া

 

Notice